পশ্চিম তীরে গাজা উপত্যকায় সংঘাতের সময় ইস’রায়েল অধ্যুষিত এলাকায় বসবাসরত ফিলি’স্তিনি নাগরিকরাও প্রতিবাদের ঝড় তুলেছিলেন। বি’ক্ষোভে অংশ নেওয়া ফিলি’স্তিনিদের বি’রুদ্ধে ‘যু’দ্ধ ঘোষণা’ দেওয়ার অ’ভিযোগে এবার গণগ্রে’প্তারের ঘোষণা দিয়েছে ইস’রায়েলি বাহিনী। জানা যায়, ঘোষণা দেওয়া পর এর মধ্যে প্রায় দেড় হাজার ফিলি’স্তিনিকে গ্রে’প্তার করেছে ইস’রায়েলি বাহিনী। আরো অনেককে গ্রে’প্তার করতে অ’ভিযান চলছে।
যেসব ফিলি’স্তিনি পূর্ব জেরুজালেমের শেখ জাররাহ উচ্ছেদ অ’ভিযান ও গাজা উপত্যকায় ইস’রায়েলি হা’মলার প্রতিবাদ করেছে বেছে বেছে তাদেরকেই গ্রে’প্তার করা হচ্ছে বলে জানা গেছে। ইস’রায়েলের পু’লিশ এই গ্রে’প্তার অ’ভিযানকে ‘অ’পারেশন ল অ্যান্ড অর্ডার’ হিসেবে অ’ভিহিত করেছে। গাজায় ১১ দিনের তা’ণ্ডবের পর যু’দ্ধবিরতিতে সম্মত হয় যু’দ্ধবাজ নেতানিয়াহু। এর পরপরই গ্রে’প্তার অ’ভিযান শুরু করে ইস’রায়েল। তাদের আগ্রাসনে নারী-শি’শুসহ ২৫৩ জন নিরীহ ফিলি’স্তিনি নি’হত হয়েছিল।
গত রবিবার রাতে এক বিবৃতিতে ইস’রায়েলি পু’লিশ জানিয়েছে, তারা ৯ মে থেকে এ পর্যন্ত প্রায় ১,৫৫০ জনকে গ্রে’প্তার করেছে। গত দুই সপ্তাহে ইস’রায়েলের বিভিন্ন শহর ও নগরে বি’ক্ষোভ প্রদর্শনকারীদের গ্রে’প্তার অ’ভিযান অব্যাহত রাখবে বলেও জানিয়েছে তারা।
লিগ্যাল সেন্টার ফর আরব মাইনরিটি রাইটস ইন ইস’রায়েলের পরিচালক হাসান জাবারিন বলেছেন, এটা আসলে ফিলি’স্তিনি বি’ক্ষোভকারী, রাজনৈতিক অ্যাক্টিভিস্ট ও অ’প্রাপ্তবয়স্কদের বি’রুদ্ধে ‘যু’দ্ধ ঘোষণা’। এই গ্রে’প্তারের উদ্দেশ্য হলো ভীতি প্রদর্শন করা ও ইস’রায়েলের ফিলি’স্তিনি জনগণের ওপর প্রতিশোধ গ্রহণ করা।