কাতারে করো’নার দুই ডোজ টি’কা নেয়ার পর ক’রো’না টেস্টে নে’গেটিভ সনদ পাওয়ার পরও বাংলাদেশে এলে কোয়ারেন্টিনে থাকতে হচ্ছে। এ নিয়ে কাতার প্রবাসীদের মনে দেখা দিয়েছে নানা প্রশ্ন।
করো’নার দুইডোজ ভ্যা’কসি’ন, নে’গেটিভ সার্টিফিকেটসহ কাতার প্রবাসীরা দেশে গেলে হোটেল কোয়ারান্টাইনের নামে ১২ হাজার টাকা ও ক’রোনা টেস্টের নামে ৩ হাজার টাকা দিতে হয়। অথচ লকডা’উন ছাড়াই দিন দিন উন্নতির পথে কাতারের করো’না পরিস্থিতি। এরইমধ্যে দেশটির দুইটি হাসপাতালে ক’রোনা রোগীর সংখ্যা শূন্যে নেমে এসেছে।
এদিকে বাংলাদেশ থেকে সৌদি আরবে যাওয়া প্রবাসী কর্মীদের কোয়ারেন্টিন খরচ কমাতে ভর্তুকি দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। কাতারে অবস্থানরত এক প্রবাসী তার প্রতিক্রিয়া জানিয়ে বলেন, কাতারে থাকা প্রবাসীরা আমরা কি দোষ করলাম? সৌদি আরব প্রবাসীদের হোটেল করেন্টাইনের খরচ সরকার বহন করলে আমাদের টাকা ও সরকার বহন করবেনা কেন?
কাতারের বেশীরভাগ প্রবাসী বাংলাদেশ সরকারের কাছে অনুরোধ জানান, ক’রোনা টেস্ট এর নেগেটিভ রেজাল্ট এবং ক’রোনা ভ্যা’কসিনের ছাড়পত্র থাকার পরও যাতে দেশে এলে কোয়ারেন্টাইনে না থাকতে হয়। দ্রুত কোয়ারেন্টাইন বাতিলের দাবি জানান অনেক প্রবাসী।
কাতারে ক’রো’না পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসায় প্রতিদিন আ’ক্রা’ন্ত ও মৃ’ত্যুর সংখ্যা কমে আসায় স্বাভাবিক হচ্ছে জনজীবন। তাই শর্তসাপেক্ষে গতকাল শুক্রবার পঞ্চম ধাপে বিধিনিষেধ শিথিল করে খুলে দেওয়া হয়েছে হোটেল, সেলুন, ড্রাইভিং, স্কুল, বিউটি পার্লার, সিনেমা হল, মিউজিয়াম লাইব্রেরি ও বিনোদনকেন্দ্রগুলো। কিন্তু প্রকারভেদে ৩০ থেকে ৫০ ভাগের বেশি ধারণক্ষমতার বেশি বহন করতে পারবে না প্রতিষ্ঠানগুলো।