শরীয়তপুর সদর উপজেলায় প্রেমিকাকে নিয়ে রাত কা’টাতে গিয়ে আপ’ত্তিকর অবস্থায় ধ’রা পড়েছেন কামরুজ্জামান রুমি নামে এক শিক্ষক। বুধবার দিবাগত রাতে উপজেলার পিটিআই ট্রেনিং সেন্টারের পাশে ভাড়ার বাসায় এ ঘটনা ঘটে। আ’টক স্কুল শিক্ষক ভেদরদঞ্জ উপজেলার সখিপুর থানার ১৩৫ নং ওবাইদুল হাওলাদার কা’ন্দি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক। তিনি বর্তমানে শরীয়তপুর পিটিআই ট্রেনিং সেন্টারে ডিপিএড প্রশিক্ষণে আছেন।
এ ঘটনায় স্থানীয়রা অনৈতিক অবস্থায় পালং মডেল থানা পুলিশের হাতে ওই স্কুল শিক্ষককে তুলে দিলে বিয়ে করার শর্তে তাদেরকে ছেড়ে দেওয়া হয়। বিকালে পালং এলাকার কাজি অফিসে চার লক্ষ টাকা কাবিনে তাদের বিয়ে পড়ান কাজি মোহাম্মদ আলী। তিনি বলেন, চার লক্ষ টাকা দেনমোহরে প্রথম স্ত্রীর সম্মতিতে তাদেরকে বিয়ে পড়ানো হয়। বিয়েতে উভয় পক্ষ রাজি থাকায় আমি বিয়ের কাজ সম্প’ন্ন করেছি।
অভি’যুক্ত স্কুল শিক্ষক কামরুজ্জামান রুমি বলেন, শিক্ষক হয়ে এ অ’নৈতিক কাজ করা আমার ঠিক হয়নি। আমাদের দীর্ঘ ২২ বছরের প্রেম ছিল এটা। তবে পরিবারিকভাবে বিয়ে করেছি বলে রুবিনাকে বিয়ে করতে পারিনি। এবার প্রথম স্ত্রীর সম্মতিতে বিয়ে করেছি। পালং মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আক্তার হোসেন বলেন, স্থানীয়রা খবর দেওয়ায় পুলিশ গিয়ে তাদেরকে উ’দ্ধার করে থা’নায় নিয়ে আসা হয়েছিল।
পরে দুই পরিবার মী’মাংসা হওয়ায় ও কারো কোন অভি’যোগ না থাকায় প্রথম স্ত্রীর জি’ম্মায় ছেড়ে দেওয়া হয়। শুনেছি তারা বিয়ে করে ফেলেছে। জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা আবুল কালাম আজাদ বলেন, একজন শিক্ষক সমাজের বিবেক। তার দ্বারা সমাজ অনেক কিছু শিখবে। তবে রুমি যে ধরনের কাজ করেছে, তার বিরু’দ্ধে ব্য’বস্থা নেওয়া হবে।