মালয়েশিয়ার ক্লাং এলাকার একটি রেস্টুরেন্ট ও ২টি হোস্টেল থেকে ২২ জন অভিবাসী কর্মীকে উ’দ্ধার করেছে পুলিশ।কর্মীদের আ’টকে রেখে প্রতিদিন মাত্র ১০ রিঙ্গিত করে বেতন দেয়া হত এবং কেউ উচ্ছি’ষ্ট খাবার খেলে বেতন থেকে কে’টে নেয়া হতো।
ক্লাং এলাকার তামান সি লিউং এর একটি রেস্টুরেন্টের ২২ জন অভিবাসী কর্মীর ভাগ্যে ঘটেছিলো এমন ঘটনা। মালয়েশিয়ার পুলিশের প্রিভেনশন অব ট্রাফিকিং ইন পারসন এন্ড মাইগ্র্য্যান্টস এন্টি স্মাগলিং ইউনিট, বুকিত আমান পুলিশের সিআইডির ফৌজদারি তদ’ন্ত বিভাগ, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এন্টি ট্রাফিকিং ইন পারসন টাস্কফোর্সের অংশ গ্রহনে যৌথ অভি’যান পরিচালনা করা হয়েছে। বুকিত আমান পুলিশের সিনিয়র কমিশনার চিফ এসিস্ট্যান্ট ডিরেক্টর ফাদিল মাসরুস বলেন, তথ্য ও গোয়েন্দা তৎপরতার ফলাফল অনুযায়ী বৃহস্পতিবার একটি রেস্টুরেন্ট ও ২টি কর্মী হোস্টেলে সফলভাবে অভি’যান চালানো হয়।
গতকাল রাত ১২.৪৫ মিনিটে চালানো অভিযানে নিয়োগকর্তা ও কেয়ারটেকার সহ ২৯ থেকে ৬০ বছর বয়সী ৩ জনেকে গ্রে’ফতার করা হয়। ফাদিল আরও বলেন তার টিম ২২ জন বিদেশি কর্মীকে উ’দ্ধা’র করেন যাদের মধ্যে ১১ জন ইন্ডিয়ান এবং ১১ জন ইন্দোনেশিয়ার অভিবাসী। তিনি জানান, অ’ভিযান চালানোর সময় সেখান থেকে ৪০ টি পাসপোর্ট, ১টি BMW কার এবং প্রায় ৪ হাজার রি’ঙ্গিত নগদ অর্থ জ’ব্দ করা হয়েছে।
প্রাথমিক তদ’ন্ত অনুযায়ী জানা যায়, নিয়োগকর্তা কর্মীদের ১৫০০ রিঙ্গিত বেতন না প্রদান করে প্রতিদিন মাত্র ১০ রিঙ্গিত করে দেয়া হত এবং কাজ শেষে তাদের আ’টকে রাখা হতো। কর্মীদের সাথে অ’মানবিক ব্যবহারের পাশাপাশি প্রতিদিন ১২ ঘন্টা কাজ করতে হতো এবং কাজ শেষে তাদের কোনো ধরনের মোবাইল ফোন ব্যবহার করতে দেয়া হতোনা। প্রয়োজন হলে নিয়োগকর্তা অনুমতি ছাড়া মোবাইল ফোন ব্যবহার করা যেতোনা। তিনি বলে,তারা যদি পা’লানোর চেষ্টা করতো, তাদের সবসময় হু’মকি ধা’মকির মধ্যে রাখা হতো। খা’রাপ খাবার খেলেও তাদের জরি’মানা করা হতো। এমনকি তাদের থাকার জায়গাটিও মালয়েশিয়ার আইন ৪৪৬ অনুযায়ী নুন্যতম আবাসন সুবিধা দেয়া হয়নি।