আমি সরল-সোজা মানুষ, বিজয় দিবসে কিনে এনে বেলুন ফুলিয়েছি: রেজাউল

মহান বিজয় দিবস উদযাপন উপলক্ষে শরীয়তপুর সদর হাসপাতালের জরুরি বিভাগ সৌন্দর্য বর্ধন ও সাজসজ্জায় বেলুনের বদলে সরকারি নি’রাপ’দ ক’নড’ম ব্যবহার করা হয়। এ ঘটনায় হাসপাতালের দায়ি’ত্বরত জরুরি বিভাগের ইনচার্জকে অব্যাহ’তি দেওয়া হয়েছে।

 

শনিবার (১৭ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় ১০০ শয্যাবিশিষ্ট সদর হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা. আবদুস সোবাহানের স্বা’ক্ষরিত একটি পত্রের মাধ্যমে তাকে অব্যাহ’তি দেওয়া হয়।

 

অব্যাহ’তি পাওয়া মো. রেজাউল করিম হাসপাতালের সিনিয়র স্টাফ নার্স ও জরুরি বিভাগের ইনচার্জ। এ বিষয়ে তিনি বলেন, আমি সরল-সোজা মানুষ। কিনে এনে বে’লুন ফুলিয়েছি। কিন্তু কীভাবে কী হলো বুঝতে পারছি না।

 

হাসপাতাল সূত্রে জানা যায়, মহান বিজয় দিবস উদযাপন উপলক্ষে ১৬ ডিসেম্বর শরীয়তপুর সদর হাসপাতালের জরুরি বিভাগের সৌন্দর্যবর্ধন ও সাজসজ্জায় অংশ হিসেবে বেলু’নের সঙ্গে সরকারি নি’রাপ’দ ক’নড’ম ব্যবহার করেন রেজাউল করিম, যা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছ’ড়িয়ে পড়লে দৃ’ষ্টিগো’চর হয়।

 

তাই হাসপাতালের কর্মকর্তাদের সমন্বয়ে একটি তদ’ন্ত কমিটি গঠন করা হয়। উক্ত তদন্ত কমিটি তাদের প্রতিবেদন আগামী তিন কার্যদিবসের মধ্যে হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়কের কাছে দাখিল করার জন্য নির্দেশ প্রদান করা হয়।

 

কমিটিতে হাসপাতালের জুনিয়র কনসালট্যান্ট ডা. মো. মফিজুল ইসলামকে সভাপতি, আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডা. সুমন কুমার পোদ্দারকে সদস্য সচিব করে, জুনিয়র কনসালট্যান্ট ডা. সৌমিত্র সরকার ও জুনিয়র কনসালটেন্ট ডা. কাজী শাহ মো. আবদুল্লাহকে সদস্য করা হয়েছে।

 

এ বিষয়ে হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা. আবদুস সোবাহান বলেন, সদর হাসপাতালের জরুরি বিভাগ সৌন্দর্যবর্ধন ও সাজসজ্জায় বেলুনের বদলে সরকারি নিরা’পদ ক’নড’ম ব্যবহার করা হয়েছে। তাই জরুরি বিভাগের ইনচার্জকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে। এ ঘটনায় তিন সদস্যবিশিষ্ট কমিটি গঠন করা হয়েছে। তাদের তিন কার্যদিবসের মধ্যে তদন্তের প্রতিবেদন জমা দেওয়ার জন্য বলা হয়েছে।

Share on facebook
Share on twitter
Share on linkedin